শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
প্রচ্ছদআইন-শৃঙ্খলা বাহিনী৩০জুন শেষ হচ্ছে শান্তিরক্ষা মিশন "মিনুসমা'র" মেয়াদ।। বাড়ানোর প্রস্তাব জাতিসংঘের ।। প্রত্যাহার...

৩০জুন শেষ হচ্ছে শান্তিরক্ষা মিশন “মিনুসমা’র” মেয়াদ।। বাড়ানোর প্রস্তাব জাতিসংঘের ।। প্রত্যাহার চাইছে মালি।। সমন্বয়হীনতা বলছে রাশিয়া।।

আগামী ৩০জুন মালির জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন “মিনুসমা”-এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব জাতিসংঘ মহাসচিবের। মিশন প্রত্যাহার চাইছে মালির সামরিক কর্তৃপক্ষ। আয়োজক দেশের সাথে সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া। সুত্র আল জাজিরা।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মিনুসমা-এর ম্যান্ডেট বাড়ানোর জন্য একটি প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে। যার প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সুপারিশ করেছেন যে, নিরাপত্তা পরিষদ “মিনুসমার” ১৫ হাজার সৈন্য ও পুলিশের সমন্বেয়ে মিশনের মেয়াদ যেন এক বছর বাড়ানো হয়।

তবে, মালির অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদৌলায়ে ডিওপ শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বলেছেন যে, মিনুসমা নামে পরিচিত শান্তিরক্ষী বাহিনীকে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করা উচিত।

তিনি আরও দাবি করেন যে, জাতিসংঘ ১০ বছর ধরে মালিতে আছে এবং সেখানে নিরাপত্তাহীনতা ও সহিংসতা বন্ধ করার জন্য তাদের পাঠানো হলেও মালির পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মালিয়ান জনগণের মধ্য আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মালিতে বিক্ষোভ হয়েছে।”

অন্যদিকে মালির জাতিসংঘের মিশনের প্রধান এল ঘাসিম ওয়ানে ১৫ সদস্যের কাউন্সিলের বৈঠকের পর বলেছেন যে, আয়োজক দেশের সম্মতি ছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা “প্রায় অসম্ভব”।

এদিকে, রাশিয়ার জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া কাউন্সিলকে বলেছেন যে, শান্তিরক্ষা মিশন তখনই সফল হতে পারে যদি “আয়োজক দেশের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ সমন্বয় থাকে এবং মালির সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়”।

“মুল ইস্যু শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা নয় বরং কার্যাবলী। মালি সরকারের অন্যতম প্রধান কাজ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা, যা নীল হেলমেটধারিদের আদেশে প্রদান করা হয়নি বলে নেবেনজিয়া মন্তব্য করেন।

দেশটির সামরিক শাসকরা ক্রমবর্ধমানভাবে শান্তিরক্ষীদের উপর অপারেশনাল বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এবং সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের সাথে মালির দীর্ঘদিনের মৈত্রীও সম্পর্ক ইতিমধ্যে ভেঙে গেছে।

২০১৩ সালে মালিতে মিশন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩০৩ জনেরও বেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছে। তাই এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।####

 

আরও পড়ুন
- Advertisment -spot_img

সর্বশেষ