নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে চীনের এক বিলিয়ন ডলারের সমমূল্যের বৈদ্যুতিক যানবাহন নির্মাণের বিনিয়োগের প্রস্তাব ভারত প্রত্যাখ্যান করেছে বলে ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে।
ভারতের মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচারস লিমিটেড (এমইআইএল) এর সাথে যৌথ ভাবে হায়দ্রাবাদে ১ বিলিয়ন ডলারের তথা প্রায় ৮,২০০ কোটি রুপি বিনিয়োগে গাড়ি তৈরির সুবিধা স্থাপনের জন্য চীনা অটোমেকার এবং ব্যাটারি প্রস্তুতকারক বিওয়াইডি মোটরস-এই প্রস্তাব দেয়।
এই মাসের শুরুতে, বিওয়াইডি এবং মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচারস, ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড (ডিপিআইআইটি) এর কাছে বিনিয়োগের একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে এবং ডিপিআইআইটি বিনিয়োগ প্রস্তাবের বিষয়ে অন্যান্য সরকারী বিভাগের মতামত চেয়েছিল।
“ভারতে চীনা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয় সম্পর্কিত থাকায় ভারত বিদ্যমান নিয়ম এই ধরনের বিনিয়োগের অনুমতি দেয়নি বলে বিভিন্ন সুত্র জানায়।
চায়নার বিওয়াইডি , বিক্রয়ের দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক যানবাহন নির্মাতা, তারা বছরে ভরতে ১০ থেকে ১৫ হাজার বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল ৷ মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচারস হল একটি হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক অবকাঠামো সংস্থা যারা রাস্তা, সেতু এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সাথে জড়িত।
ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রয় অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এবং বৈদ্যুতিক যানবাহন তৈরি বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েকটি প্রণোদনা ঘোষণা করেছে।
বিনিয়োগ প্রস্তাবে ভারতে চার্জিং স্টেশন স্থাপন এবং গবেষণা ও উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য বিওয়াইডি এবং মেঘার একটি পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বিওয়াইডি ইতিমধ্যেই ভারতে তাদের ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে, যেখানে এটি Atto ৩ ইলেকট্রিক SUV এবং e6 বৈদ্যুতিক সেডান কর্পোরেট ফ্লিটগুলিতে বিক্রি করছে৷ কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ভারতে বিশাল বাজারের জন্য তাদের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি চালু করার পরিকল্পনা করেছে।
বিওয়াইডি ইতিপূর্বে জানিয়েছিল যে ভারতে তারা বৈদ্যুতিক যানবাহন উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে, যা এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ির বাজার। প্রস্তাবের সাথে, কোম্পানিটি সরাসরি টেসলার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, যা এখনও বিশ্ব বাজারে ইভি বিক্রিতে নেতৃত্ব দেয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের এপ্রিলে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) নীতি পরিবর্তন করেছে, ভূমি-সীমানার উপর ভিত্তি করে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সরকারী অনুমোদন বাধ্যতামূলক করেছে। স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি এ ধরনের প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। #####