পূর্ব চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের উপকূলীয় শহর জিয়ামেনে উদীয়মান অর্থনীতি শক্তি “ব্রিকসের” করণে বছরে চীনের ৪৬.৯ শতাংশ ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে প্রথমার্ধে বাণিজ্য সম্প্রসারিত হওয়ায় ৭৮৬ কোটি মার্কিন ডলার বেড়েছে বলে জিয়ামেন কাস্টমসের উদ্ধৃতি দিয়ে ডেইলি চায়না এই তথ্য জানিয়েছে।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত ব্রিকসের অন্যান্য চারটি দেশে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত জিয়ামেন থেকে রপ্তানি হয় ১৪.৭৪ বিলিয়ন ইউয়ান, যা বছরে ১৫.৬ শতাংশ বেশি। পাশাকপাশি ব্রিকস দেশগুলি থেকে জিয়ামেনের মাধ্যম চীনে আমদানি হয় মোট ৪১.৩৯ বিলিয়ন ইউয়ান, যা বছরে ৬২.৫ শতাংশ বেশি৷
চীন থেকে রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক পণ্য, লেবার ইন্সেন্টিভ গুডস এবং প্রধান আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে কয়লা, লিগনাইট, ধাতু আকরিক এবং আকরিক বালি এবং কৃষি পণ্য।
উল্লেখ্য, আর্থিক খাত দিয়ে সম্ভাব্য বিশ্ব-পরিবর্তন করার লক্ষ্য ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে ব্রিকস গঠিত হয়। বিভিন্ন সম্মেলনে পরাশক্তি দেশ গুলো মার্কিন ডলারের বিপরীতে স্বর্ণ দিয়ে একটি যৌথ মুদ্রা চালু করার পরিকল্পনা হতে নিয়েছে ৷ তবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল অনুসারে, গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে প্রায় ৯০ শতাংশ আন্তর্জাতিক লেনদেনে মার্কিন ডলার ব্যবহার করা হয়েছিল।
আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, মিশর, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ ৪০ টিরও বেশি দেশ ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অন্যদিক ব্রিকস গ্রুপিংয়ে যোগ দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হলে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ।
চলতি বছরের আগস্টে সাউথ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে বসছে ব্রিকসের ১৫তম শীর্ষ সম্মেলন। ২০০১ সালে যাত্রা শুরু হওয়ার পর ২০১০ সালে সাউথ আফ্রিকা যোগ দেওয়ার আগে এটি ব্রিক নামে পরিচিত ছিল। বর্তমানে ব্রিকসের সদর দপ্তর চীনের সাংহাইয়ে অবস্থিত।
২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতিতে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে গঠিত ব্রিকসের এই জোটের লক্ষ্য- বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও সহযোগিতা। এ ছাড়া মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে চায় ব্রিকস।##