কেনিয়া নিজস্ব ফ্যাক্টরি থেকে বাংলাদেশের স্বনামধন্য ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস বর্তমানে আফ্রিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঔষধ রফতানি করছে। কেনিয়ায় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে পূর্ব আফ্রিকার প্রায় চার কোটি মানুষ সেবা পাচ্ছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
২০১৮ সালে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেড প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করে। কভিডের কারণে নির্মাণকাজের গতি কমে গেলেও পরে খুব দ্রুত নির্মাণ শেষ হয়। ২০২১ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্যাক্টরির কার্যক্রম শুরু করার পর ঔষধ রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু করে।
এদিকে গত শুক্রবার কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম সামোই রুটো স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেড লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শন করেন। এতে স্থানীয় শিল্প ও স্বাস্থ্যখাত এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নয়নে এ সফর বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট রুটোর সাথে সফরসঙ্গী হিসেবে একদল উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন । এই সময় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেড লিমিটেডের প্রজেক্ট ডিরেক্টর অঞ্জন কুমার দাস সহ কেনিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মুহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে ১৭০কোটি টাকা ব্যয় কারখানার নির্মাণ কাজ শেষ করে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২০১৭ ফাইলিং অনুসারে, স্কয়ার কেনিয়ায় ফার্মাসিউটিক্যালস কারখানায় ২০মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে। এরমধ্য স্কয়ার ফার্মা তার মূলধন থেকে ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যবহার করেছে, এবং বাকি তহবিল ঋণ থেকে যোগান এসেছে।
স্কয়ার বর্তমানে এশিয়ায় ১৯টি, আফ্রিকায় ১৩টি, ওশেনিয়ায় তিনটি, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার ছয়টি এবং যুক্তরাজ্য সহ ৪২টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে।চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির মোট বিক্রয় হয়েছে ১,৭৪২ কোটি টাকা, ওই সময়ে কোম্পানিটির মোট আয় ছিল ৫৯৫ কোটি টাকা, যার শেয়ার প্রতি আয় ৫.৬৪ টাকা।###