দেশের শিল্প খাতের তুলনায় আবাসিক খাতে বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের কারণে গত তিন সপ্তাহ শিল্প কল কারখানা সহ বাণিজ্যিক কার্যক্রম অনেকটা বন্ধ থাকার পরও বিদ্যুতের চাহিদা ৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রমাগত চাহিদা অব্যাহত থাকলে তীব্র গরমে অর্থনীতিতে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদন উল্লেখ করেছে।
এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ভারত ও ভিয়েতনামে শিল্পকে কেন্দ্র করেই বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। অথচ গত এক দশকে শিল্পের চাহিদার তুলনা বাংলাদেশে আবাসিক খাতে বিদ্যুতের চাহিদা দ্বিগুন হারে বাড়ছে।
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির এক সমিক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশে ক্রমাগত শিল্প খাতে বিদ্যুতের ব্যবহার কমছে। ২০১০ সালে ৫৬.৭%থেকে ২০১৯ সালে ৪৪.৮%-এ নেমে এসেছে। পাশাপাশি ২০২০ এবং ২০২১ সালে শিল্পের তুলনায় আবাসিক খাতে বিদ্যুত সরবরাহ বেড়েছে।
গত ১৬ই জুলাই থেকে ৬ই আগস্ট সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গনআন্দোলনের মাধ্যমে সৃষ্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার বিদায় নেয়। সারাদেশে তীব্র গণ বিক্ষোভ সত্ত্বেও বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা প্রতিদিন গড়ে ৩১৬ মিলিয়ন কিলোওয়াট বেড়েছে, যা চাহিদার তুলনায় ৭% বেশি। অথচ এই সময় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ ছিল।
সতের কোটিরও বেশি জনসংখ্যার বাংলাদেশে গত এক দশকে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ। তাপ বৃদ্ধির কারণে আবাসিক খাতে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েই চলেছে বলে রয়টার্সের রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়।
একশ একচল্লিশ কোটিরও বেশি মানুষের আবাসস্থল চীনের পরেই বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়, আবাসিক খাতে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লার আমদানি বেড়েছে। এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। পাশাপাশি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানিও বৃদ্ধি পেয়েছে।###