মানুষের দীর্ঘদিনের আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ফুটে উঠেছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বক্তব্যে। সংস্কারের জন্য প্রাথমিক ভাবে ছয়টি কমিশন ঘোষণা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে খোলামেলা বক্তব্যে মাধ্যমে তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতির প্রত্যাশা পূরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে প্রায় সাড়ে ৩৩ মিনিটে জাতির উদ্দেশ্য ঐতিহাসিক ভাষণে এই নোবেল বিজয়ী ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের সংস্কারের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে সম্মানিত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
হাজারো মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে ছাত্র শ্রমিক জনতার ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মুখে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে উল্লেখ করে ড. ইউনুস বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানের বার্তা ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ন সময় ও সুযোগ আমার অর্জন করেছি। পুনরায় ফ্যাসিজম রোধে কিছু জাতীয় ভিত্তিক সংস্কার খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
প্রাথমিকভাবে ৬ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নেতৃত্বে ছয়টি কমিশন গঠন করার ঘোষণা দিয়ে ১৯৪০ সালের ২৮শে জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জন্ম নেয়া এই নোবেল বিজয়ী আগামী অক্টোবর থেকে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যেই এই কমিশনগুলো তাদের কাজ সম্পন্ন করবেন বলে তিনি আশা করেন।
গণঅভ্যুত্থানের সব শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে এবং সব আহত শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করবে উল্লেখ করে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য নোবেল শান্তি বিজয়ী ড. ইউনূস বলেন,গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি সন্মান জানিয়ে ‘জুলাই গণহত্যা স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হবে। আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা সহ তাদের পরিবারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব এই ফাউন্ডেশন গ্রহণ করবে। ###