টায়ার তৈরিতে দুই ধরনের রাবার ব্যবহার করা হয় –প্রাকৃতিক এবং সিন্থেটিক।
টায়ারে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক রাবার, রাবার গাছের রস থেকে তৈরি হয়। প্রাকৃতিক রাবারের টায়ার তৈরির জন্য “সাপ” বা ল্যাটেক্স সংগ্রহ করা হয় এবং মিহি করা হয়।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিশ্বের প্রাকৃতিক রাবারের ৯০% এর বেশী সরবরাহ করা হয় । থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়া একাই বিশ্বের সরবরাহের ৬০% রাবার উৎপাদন করে। টায়ার তৈরিতে “কাঁচা মাল খরচের প্রায় ৪২% রাবার গঠনের মধ্য করতে হয়।
অন্য দিকে সিন্থেটিক রাবার পেট্রোকেমিক্যাল ফিডস্টক থেকে তৈরি করা হয়। অপরিশোধিত তেলই প্রাথমিক কাঁচামাল। রাবার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের মতে, একটি টায়ার তৈরি করতে “প্রায় সাত গ্যালন” তেল লাগে। “ফাইডস্টক হিসাবে পাঁচ গ্যালন ব্যবহার করা হয় (যা থেকে পদার্থগুলি যা কৃত্রিম রাবার তৈরি করতে একত্রিত হয়)। বাকী দুটি গ্যালন উৎপাদন প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি হিসাবে ব্যবহার করা হয়।”
টায়ার তৈরিতে ব্যবহারের জন্য প্রায় ৫ বিলিয়ন গ্যালন অপরিশোধিত তেলের প্রয়োজন। মোটর গাড়ির চাহিদা যেমন বাড়ছে, তেমনি টায়ার উৎপাদনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই অশোধিত তেলের ব্যবহারও বাড়ছে ।
“প্রতি বছর ১ বিলিয়নেরও বেশী টায়ার তৈরি” হয়। এই টায়ারগুলির ৩০% প্রাকৃতিক রাবারের থেকে এবং “৭০%” সিন্থেটিক রাবার দিয়ে তৈরি করা হয়।
সাধারণত টায়ারের বৃদ্ধির জন্য রাবার সরবরাহ, তেলের দাম, শুল্ক, উদীয়মান বাজার, সরবরাহ এবং চাহিদার উপর নির্ভর করে।
এশিয়ার জলবায়ু পরিস্থিতি প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করছে। একদিকে উৎপাদন কম অন্যদিকে চাহিদা বৃদ্ধি ফলে রাবারের দাম বাড়ছে।
যেহেতু অপরিশোধিত তেল হল সিন্থেটিক রাবার টায়ারের মূল উপাদান, তাই অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে টায়ারের দামও বাড়ছে।