ব্যাপক ঘাটতি মেটাতে ৪ লাখ ৪০ হাজার টন প্রাকৃতিক রাবার শুল্ক মুক্ত আমদানির অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি অহবান জানিয়েছে ভারতের টায়ার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (এটিএমএ)।
সম্প্রতি অটোমোটিভ টায়ার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (এটিএমএ) পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রীর কাছে একটি চিঠিতে বলেন, “টায়ারের চাহিদা বাড়ার সাথে-সাথে, এনআর (প্রাকৃতিক রাবার) গুরুতর সংকটে টায়ার উৎপাদন মারাত্মক ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে ।
২০২২ সালে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রাকৃতিক রাবার বিপুল ঘাটতি রয়েছে। যা বছরের শুরুতে ৩লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন। যা মোট উৎপাদনের ৪৫ শতাংশ ।
সময়ের ব্যবধান এটি ৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টনে গিয়ে পৌঁছাবে বলে ভারতের রাবার বোর্ডের পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে এটিএমএ এই তথ্য জানায়।
কেরালায় সর্বোচ্চ উৎপাদন মৌসুমে প্রাকৃতিক রাবারের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে, এটিএমএ বলেছে যে , এটি টায়ার শিল্পের জন্য নেতিবাচক অবস্থা।
“গত অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে ৭৫ হাজার মেট্রিক টন প্রাকৃতিক রাবারের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের বিপরীতে ছিল, তা,চলতি বছরের অক্টোবর এবং নভেম্বরের প্রতি মাসে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি হবে না বলে আশংকা করা হচ্ছে ।
অন্যদিকে, এই দুই মাসে খরচ হবে প্রায় এক লক্ষ মেট্রিক টনের উপরে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার ফলে চলমান সর্বোচ্চ উৎপাদন মৌসুমের এই দুই মাসের মধ্যেই এক লক্ষ মেট্রিক টন ঘাটতি হবে যা টায়ার শিল্পের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ।
এটিএমএ-এর মহাপরিচালক রাজীব বুধরাজা “টায়ার উৎপাদন এবং তা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে রপ্তানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, দ্রুত ৪ লাখ ৪০ হাজার টন পর্যন্ত প্রাকৃতিক রাবার শুল্ক মুক্ত আমদানির অনুমতি দেওয়া আহবান জানান। পাশাপাশি শুল্কমুক্ত আমদানি ভলিউম প্রতি বছর পর্যালোচনা করার কথাও বলেন।