ভারতীয় টায়ার উৎপাদক কোম্পানিগুলো বৈদ্যুতিক চালিত গাড়ির জন্য পরিবেশবান্ধব ইকো বা সবুজ টায়ার (EV) শিল্পের জন্য মিলিয়ন-মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এর দিকে ঝুঁকছে। গত পাঁচ বছরে এই প্রযুক্তির জন্য বিনিয়োগ তিনগুণ বৃদ্ধি করেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বৈদ্যুতিক চালিত গাড়ি জন্য স্থায়ীভাবে কারখানা স্থানান্তরিত হলে বিনিয়োগ আরো বাড়বে।
সিয়েট টায়ার এমডি জনাব অনন্ত গোয়েঙ্কা জানান, টায়ারের শব্দকে যথেষ্ট পরিমাণে কমিয়ে আনতে হবে । ঘূর্ণায়মান প্রতিরোধের উন্নতির প্রয়োজনে উন্নত মানের ব্যাটারি ব্যবহারের খরচ বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে গ্রীন (সবুজ) টর্ক করার পাশাপাশি কার্বন ব্ল্যাকের পরিবর্তে সিলিকা ব্যবহার করার জন্য পুনর্ব্যবহৃত রাবারের দিকে নজর দিতে হচ্ছে। এবং ট্রানজিশনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য টেস্টিং গ্রাউন্ড , ভূমিকম্প চেম্বার এবং অন্যান্য প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে ।
অ্যাপোলো টায়ারের প্রেসিডেন্ট জনাব সতীশ শর্মা জানান, গত পাঁচ বছরে এই শিল্পটির বিনিয়োগ তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। টায়ার কোম্পানিগুলিও ” বিদ্যমান পণ্যগুলিকে পরিবর্তন করে বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য সম্পূর্ণরূপে কাস্টমাইজড নতুন প্রজন্মের পরিসরে প্রস্তুত এর জন্য বিনিয়োগ করছে যা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করছে ।
জে কে টায়ার প্রযুক্তি পরিচালক জনাব ভি কে মিশ্র এর মতে, টর্কের জন্য উপাদান এবং যৌগিক উন্নয়ন, যৌগিক যান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য, কম ঘূর্ণায়মান প্রতিরোধ এবং স্থিতিশীলতার জন্য নির্মাণের দিক, টর্ক এবং শব্দ হ্রাসের কারণে কম পরিধানের জন্য নতুন ডিজাইনের ধারণার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উন্নয়ন করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে, এটি একটি বড় পরিবর্তন যার জন্য বিশাল বিনিয়োগ এবং প্রতিটি গাড়ির বিভাগে সম্পূর্ণ নতুন টুলিং প্রয়োজন এবং শিল্পের বিনিয়োগ মিলিয়ন ডলার হবে বলে তিনি জানান।
পরিবেশবান্ধব ইকো বা সবুজ টায়ার ব্যবহারের বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সাশ্রয় ও কার্বন নির্গমন হ্রাস পাবে। পৃথিবীর সব রাস্তায় সমস্ত গাড়ি ইকো ফ্রেন্ডলি টায়ার দিয়ে সজ্জিত করলে বছর ২০ বিলিয়ন লিটার জ্বালানি সাশ্রয় হবে এবং কর্বন নির্গমন ৫০মিলিয়ন টন হ্রাস করা যাবে । যার কারনে ভারত সহ সারা বিশ্বে এই পরিবেশবান্ধব ইকো বা সবুজ টায়ারের দিকে ঝুঁকছে।