ভবিষ্যতে রাবারের বিপুল চাহিদা মেটাতে ভারতের টায়ার নির্মাতারা উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য সহ পশ্চিমবঙ্গে রাবার বাগান বাড়ানোর জন্য ১১শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে।। ভারত চাহিদার প্রায় অর্ধেক রাবার আমদানি করে থাকে।। ২০৩০ সালের মধ্যে ভরতে প্রাকৃতিক রাবারের চাহিদা ২০ লক্ষ টন উন্নত হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
অটোমোটিভ টায়ার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (এটিএমএ) এর চেয়ারম্যান সতীশ শর্মা জানান, অ্যাপোলো , সিয়েট, জে কে এবং এমআরএফ টায়ারস কোম্পানি গুলো একসাথে উত্তর-পূর্ব ভারতে অঞ্চলের সাতটি রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গে রাবার বাগান বাড়ানোর জন্য আগামী পাঁচ বছরে ১১শত কোটি রুপি যোগন দেবে। এই প্রকল্পে কৌশলগত কাঁচামালের প্রাপ্যতা বাড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক রাবারের উৎপাদন বাড়াতে সরকারী সংস্থার সাথে টায়ার কোম্পানি গুলো যৌথভাবে কাজ করছে।
প্রকল্পের মধ্য আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গে দুই লাখ হেক্টর রাবার বাগান গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে।
ভারতের রাবার বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক কে এন রাঘবন জানান, যে অঞ্চলটি বর্তমানে বিদ্যমান দুই লাখ হেক্টর জমি থেকে প্রায় ১.৫ লাখ টন প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদন করে, সেখানে ২০৩২ সালের মধ্যে ছয় লাখ টন উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতে প্রাকৃতিক রাবারের চাহিদা-সরবরাহের বিশাল ব্যবধান রয়েছে এবং দেশটি পণ্যটির আমদানির উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল।
২০২১-২২ সালে ভারতের ১২.৩লক্ষ টন প্রাকৃতিক রাবার ব্যবহারের বিপরীতে, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৭.৭লক্ষ টন। অনুমান করা হয়েছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক রাবারের চাহিদা ২০লক্ষ টনে উন্নীত হবে,”।
ভারতে প্রতি বছর ৭.৭৫ লাখ টন প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে ৭৩ শতাংশ স্বয়ংচালিত টায়ার সেগমেন্ট ব্যবহার করে। বাকিটা যায় সাইকেলের টায়ার, কনভেয়ার বেল্ট, বেলুন, কনডম এবং পাদুকা ইত্যাদিতে।
ভারত প্রতি বছর ৫.৪৬ লক্ষ টন রাবার আমদানি করেছে, প্রধানত ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড এবং কোট ডি আইভরি (আইভরি কোস্ট) থেকে। শুধু রাবার আমদানির জন্য গত অর্থবছরে ৭,৫০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়।####