শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
প্রচ্ছদটায়ার উৎপাদনআন্তর্জাতিক বাজারে রাবারের দাম কমে যাওয়ায় ভারতীয় টায়ার কোম্পানিগুলোর উৎপাদন এবং মুনাফা...

আন্তর্জাতিক বাজারে রাবারের দাম কমে যাওয়ায় ভারতীয় টায়ার কোম্পানিগুলোর উৎপাদন এবং মুনাফা বেড়েছে।।

বিদেশী থেকে সস্তায় রবার আমদানিসহ জাহাজ ভাড়া কমার কারণে ভারতীয় টায়ার কোম্পানিগুলো আয় এবং মুনাফা কয়েক গুণ বেড়েছে।

গত বছর মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও আইভেরি কোস্ট থেকে ভারত বিপুল পরিমাণ ব্লক-রাবার আমদানি করে। একশ কেজি ইন্দোনেশিয়ার ব্লক-রাবার দাম ২০৭ মার্কিন ডলার হলেও আইভরি কোস্টের রাবার দাম প্রায় ২৪ ডলার কমে ১৮৩ ডলার ছিল। রাবার সস্তা পাওয়ায় ভারতীয়দের কোম্পানিগুলো ২০২১ সালের তিন মাসে যেখানে ২৭ হাজার টন আমদানি করতো, সেখানে ২০২২ সালে একই সময় দুই গুণ বাড়িয়ে ৫৪ হাজার টন ব্লক-রাবার আমদানি করেছে। মুলত বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন গ্রেডের প্রাকৃতিক রাবারের ৮% থেকে ১৫% দাম কমেছে।

আগের বছরের ১৪,৪১৫ মিলিয়ন টনের তুলনায় ২০২২ সালে বিশ্বে ৩.৬% তথা ১৪,৬২৪ মিলিয়ন টন রাবার উৎপাদন হয়েছে। জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়কাল বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক রাবারের উৎপাদনের সর্বোচ্চ মৌসুম।

প্রাকৃতিক রাবারের বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় ৪২% পুরন করে চীন। তবে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, দীর্ঘায়িত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, চীনের বেশ কয়েকটি অংশে অন্তহীন কোভিড-লকডাউন, বিদ্যুৎ সমস্যায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়া, প্রায় দুই দশকের উচ্চতায় ডলার শক্তিশালী হওয়া এবং মুদ্রায় ক্রমাগত দুর্বলতার কারণে রাবার উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হওয়া রবারের দামের নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।

ভারতীয়রা রাবার বাগানের ক্ষেত্র কেরালা রাজ্যে কম বৃষ্টি হওয়ার কারণে কাঙ্ক্ষিত রবার উৎপাদন না হওয়ায়, যে নেতিবাচক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। তা আমদানির ক্ষেত্রে কম দামে ব্লক-রাবার ও জাহাজ ভাড়া কমে যাওয়ায় ভারতীয় টায়ার কোম্পানিগুলো ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।

তাইতো চতুর্থ-ত্রৈমাসিকে ভারতের শীর্ষস্থানীয় টায়ার কোম্পানি গুলোর মধ্যে সিয়েট টায়ার পাঁচগুণ, এমআরএফ টায়ার দ্বিগুণ, অ্যাপোলো টায়ার চারগুণ এবং জে কে টায়ার দ্বিগুণ মুনাফা অর্জন করেছে।#####

আরও পড়ুন
- Advertisment -spot_img

সর্বশেষ