সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনা, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার এবং ব্রিজস্টোন আমেরিকাস ইনকর্পোরেটেডের প্রতিনিধিরা একটি সংবাদ সম্মেলনে জানান, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার এবং ব্রিজস্টোনের অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পটি ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনা গবেষকরা ব্রিজস্টোনের সাথে একত্রিত হয়ে প্রকল্পের জন্য ৭০মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিলের মধ্য অর্ধেক ইউএসডিএ বাকী অর্ধেক ব্রিজস্টোন যোগান দেবে।
মুলত রাবারের বর্তমানে একক প্রজাতির গাছ হল “প্যারা রাবার গাছ”। বর্তমানে একচেটিয়াভাবে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ভিয়েতনাম সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই প্রজাতি গাছগুলো জন্মায়। বিশ্বব্যাপী রাবারের জন্য একটি একক উৎস থাকার কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন এবং সরবরাহে কখনো যদি অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তখন পুরা বিশ্বে রবারের বাজার ব্যবস্থা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
প্যারা রাবার গাছের ফসল রোগের জন্য সংবেদনশীল, বিশেষ করে পাতা ঝরা রোগ। এই রোগের কারণ উৎপাদন ব্যাহত হলে সরবরাহে সংকট দেখা দেয়। এতে রাবারের দাম বেড়ে যায়। রবারের দামের সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট টায়ারের মুল্য অস্থির হয়ে উঠে।
প্যারা রাবার গাছ থেকে শিল্পের রাবার ছাড়াও সিন্থেটিক রাবার – পেট্রোলিয়াম থেকে রবারের উপাদান রয়েছে, তবে তা – সীমিত ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। কিন্ত এগুলো প্রাকৃতিক রাবারের মত স্থিতিস্থাপকতা নেই । এগুলো সবচেয়ে চাহিদাযুক্ত পণ্যে ব্যবহার করা যায় না, যেমন বিমানের টায়ার বা বড় কৃষি যানবাহনের টায়ার,। তাই প্রয়োজন একটি নতুন রাবারের উৎস খুঁজে বের করা।
অ্যারিজোনার গবেষকরা এখানকার উৎস থেকে প্রাকৃতিক রাবারের একটি নতুন বৈচিত্র্য তৈরি করা চেষ্টা করছে। যা আরও টেকসই এবং শুষ্ক বিরুপ পরিস্থিতিতে জন্মাতে পারে। সেই লক্ষ্য ব্রিজস্টোন ২০১২ সাল থেকে অ্যারিজোনায় গুয়েউলের সাথে কাজ করে যাছে। ###