জমে উঠেছে দেশের পরিবহন খাতের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন “বাংলাদেশ মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতায় দুই ব্যবসায়ী প্যানেলের মধ্য রয়েছে “সম্মিলিত ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ” এবং “গণতান্ত্রিক ব্যবসায়ীক ঐক্য পরিষদ”। কার্যনির্বাহী কমিটির ২৫ টি পদের জন্য দুই প্যানেলের মোট ৫০জন প্রার্থী সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আগামী ৪ঠা জুন (রবিবার) ২০২৩ইং সারাদেশের বিভিন্ন শহরে দিনব্যাপী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে প্রায় সাড়ে ১৬শ জন ভোটারা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিবেন। তার মধ্যে ঢাকায় প্রায় ৭শ, চট্টগ্রামে সাড়ে ৫শ, সিলেট,টাঙ্গাইল ,বগুড়া, পাবনা সহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় ভোটারা ভোটে অংশ নেবেন।
৪ঠা জুন সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন (২০২৩-২০২৪)(২০২৪-২০২৫ ইং) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগের মেয়াদে নির্বাচন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মূলত সর্বশেষ সরাসরি ভোটের নির্বাচন (২০১৮-২০১৯)(২০১৯-২০২০ ইং) বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল প্রায় একুশ শত জন।
উল্লেখ্য, (২০১৮-২০১৯)(২০১৯-২০২০ ইং) নির্বাচনে ২৫ টি পদের মধ্যে ১৮ টি পদে এককভাবে জয় লাভ করে “সম্মিলিত ব্যবসায়ীক ঐক্য পরিষদ” । বাকি সাতটি পদ পায় “গণতান্ত্রিক ব্যবসায়ীক ঐক্য পরিষদ”এর প্রার্থীরা। সরাসরি সেই নির্বাচনে সর্বাধিক ১৬৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন সমিতির সিনিয়র সভাপতি ও মেসার্স সাদমান ট্রেডের হাজী সালেহ আহমেদ, দ্বিতীয় সর্বাধিক ১৬৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মেসার্স আসলাম অটোমোবাইলসের হাজী মো: আসলাম এবং তৃতীয় সর্বাধিক ১৫৭৯ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন সমিতির সভাপতি ও হাজী অটোমোবাইলসের হাজী মোহাম্মদুর রহমান। নির্বাচনে ২৫ তম প্রার্থী হিসেবে ১১৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন আপেল এন্টারপ্রাইজের মো: আব্দুল হামিদ (আপেল)। এছাড়া দুই প্যানেলের মধ্যে সবচেয়ে কম ৬২৭ ভোট তথা ৫০ তম হয়েছেন জনাব আলী আহমদ খান টিপু।
এবারের নির্বাচনী বিধি কারণে:- নির্বাচনের প্রতিটি প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের জন্য নগদ ৭ হাজার টাকা, মনোনয়নপত্র জমাদানের জন্য নির্বাচনী ফি বাবদ ১৫ টাকার পে অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাপে জমা দান সহ ২২ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। সে হিসাবে প্রতি ২৫ জনের প্যানেলকে ৫লাখ ৫০ হাজার টাকা করে দুই প্যানেলের ৫০ জনকে ১১ লাখ টাকা প্রদান করতে হয়েছে।
এছাড়া নির্বাচনে ২৫ জন বিজয়ী প্রার্থীদেরকে নির্বাহী কমিটির মনোনয়ন নেয়ার জন্য নতুন করে আবারো জনপ্রতি নগদ ৭ হাজার টাকা এবং সভাপতি মন্ডলীর চার জনকে জন প্রতি ৩৫ হাজার টাকা করে এবং সম্পাদক মন্ডলীর ছয় জনকে জন প্রতি ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। এতে পুরা নির্বাচনী-প্রক্রিয়া প্রার্থী সহ নির্বাচিতদের ১৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা সমিতিতে ফান্ডে জমা হইবে।
নির্বাচনে দুই প্যানেলে টায়ার টিউব ব্যবসায়ীদের মধ্যে:- প্রার্থী হয়েছেন, মেসার্স নিউ নিপ্পন ট্রেডার্সের-হাজী মো: মুজাহিদ, আপেল এন্টারপ্রাইজের-মো: আব্দুল হামিদ (আপেল), এটি এন্টারপ্রাইজের-মোহাম্মদ আবু তাহের, সোয়ান ইন্টারন্যাশনালের-মো: আমজাদ খান ও মেসার্স নিউ সুমনা মোটরসের-মো: নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
৪ঠা জুন দুই প্যানেলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচন দেখার অপেক্ষায় রয়েছে মোটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ীরা । তবে প্যানেল ভিত্তিক নির্বাচনে যে প্যানেলের ভোট বেশি তাদের প্রার্থীরা বেশী এগিয়ে যাবে বলে মনে করছে ভোটারা।####