টায়ার প্রস্তুতকারক ব্রিজস্টোন চলতি বছর ২০২৩ সালে ভারতে তাদের খুচরা বিক্রয় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্য কাজ শুরু করছে। গত বছর ব্রিজস্টোনের রাজস্ব বেড়েছে ৩৭শতাংশ। যেখানে এই সময়ের মধ্য মোট আয় বেড়েছে ১৭শতাংশ।
ব্রিজস্টোন ইন্ডিয়া, জাপানী বহুজাতিক টায়ার প্রস্তুতকারক ব্রিজস্টোন কর্পোরেশনের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। টায়ার জগতে যার ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস রয়েছে। ব্রিজস্টোন প্রধানত রেডিয়াল টায়ার যা OEM এবং সেইসাথে প্রতিস্থাপন সেগমেন্টগুলোর লক্ষ্য পূরণ করে চলেছে।
ব্রিজস্টোন ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর স্টেফানো সানসিনি জানান, চলতি বছর আমাদের সামগ্রিক খুচরা নেটওয়ার্ক ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করতে চাইছি। আমরা আশা করি আগামী বছরে আমাদের শেয়ার আরও বাড়বে, তিনি উল্লেখ্য করেন, কোম্পানির গত বছরের ভলিউম এবং রাজস্ব উভয় ক্ষেত্রেই বৃদ্ধি পেয়েছে। মোট রাজস্ব গত বছরে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে এবং এই সময়ে মোট আয় ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
তিনি বাজার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে বলেন, ব্রিজস্টোন ইন্ডিয়া বর্তমানে ভারতের ১,৩০০টি শহর ও শহরে বিভিন্ন স্থানে ৩,২০০টির বেশি ডিলারশিপ রয়েছে। ব্রিজস্টোন গত কয়েক বছর ধরে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাজার বৃদ্ধি করছে। খুচরা ফুটপ্রিন্ট ১১ শতাংশ বৃদ্ধি এবং অতিরিক্ত ২১৮টি শহরে কার্যক্রম প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছে।
ভারতের টায়ার শিল্পের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে ব্রিজস্টোন আশাবাদী। বর্তমান গতিশীলতার অবকাঠামোতে সরকারের ব্যয় লজিস্টিক শিল্পের সক্ষমতা উন্নত করছে এবং এটি টায়ার শিল্পের বৃদ্ধিকে আরো ত্বরান্বিত করবে। ২০২৩ সালে এই বৃদ্ধির গতি বজায় রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভারতের টায়ার শিল্প ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। টায়ার বাজারের ক্ষমতা এবং সক্ষমতা উভয়ই প্রসারিত হওয়ার কারণে ব্রিজস্টোন ফেব্রুয়ারী মাসে ৬০০ কোটি রুপি বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়।
স্টেফানো সানসিনি আরো জানান, যাত্রীবাহী টায়ার ব্যবসা বাজারে তার নেতৃত্বের অবস্থান ধরে রেখেছে। এই বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৩) আমাদের পারফরম্যান্সও উৎসাহজনক এবং গত বছর আমাদের পারফরম্যান্সও ছিল একই ধরনের।
কোম্পানী বিভিন্ন শহর জুড়ে কভারেজ বাড়ানোর জন্য ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করছে যাতে ২৫ মিলিয়নেরও বেশি টায়ারের জন্য স্বয়ংচালিত টায়ারের মার্কেটে প্রবেশ করা যায়।
ব্রিজস্টোন ইন্ডিয়ার দুটি টায়ার প্ল্যান্ট রয়েছে, একটি চাকান (পুনে) অন্যটি পিথমপুরে (ইন্দোর) যেখানে প্রতিদিন ৩০ হাজার টায়ার উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে । ####