“অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ হতে না দেওয়ার” ঘোষণার মাধ্যমে সকল ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পর সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়।
গত দেড় মাস গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে গেলও দেশ-বিদেশে থেকে বিভিন্ন উস্কানিতে বিএনপির সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দূরত্ব সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়। সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের রোড ম্যাপ চাওয়ায় হঠাৎ বিএনপিকে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানো চেষ্টা করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি তারেক রহমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণ সরকার আখ্যায়িত করে, এই সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে বিএনপি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে দেশকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জনগণ স্পষ্ট ধারণা লাভ করে।
২০০২ সাল থেকে বেশ কয়েক বছর সারাদেশের তৃণমূলে ব্যাপক গণ সংযোগের মাধ্যমে তৃণমূলের নেতা হিসেবে উঠে আসা জনাব তারেক রহমান “জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া, সংস্কার কার্যক্রমের প্রক্রিয়ায় জনগণের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছাড়া উন্নয়ন-গণতন্ত্র বা সংস্কার কোনোটিই টেকসই ও কার্যকর হয় না। একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব। তাই অগ্রাধিকারভিত্তিতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত জবাবদিহিমূলক সরকার এবং সংসদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া দরকার” বলে মত প্রকাশ করেন।
বেলা আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হলেও দুপুর থেকেই নেতাকর্মীদের খণ্ড খণ্ড মিছিলে নয়াপল্টন জনসমুদ্রে পরিণত হয়। একপর্যায়ে সমাবেশ নয়াপল্টন ছাড়িয়ে কাকরাইল মোড়, নাইটিঙ্গেল হয়ে বিজয়নগর, ফকিরাপুল, পুরানা পল্টন এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।