মালির বামাকোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের বাংলাদেশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২ টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে প্রচন্ড গোলাগুলি চলছিল। বাংলাদেশ ক্যাম্পে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রয়টার্স জানায়, মালির রাজধানী বামাকোতে মঙ্গলবার ভোর (বাংলাদেশের দুপুর বারোটা) থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে। এলাকার বানানকাবুগুর পার্শ্ববর্তী এলাকায় গুলির শব্দ শুনেছে। সকালের নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়া লোকজন গুলির শব্দ শুনতে পায়। কিছু বাসিন্দা বলেছেন, যে এটি বিমানবন্দরের দিক থেকে এসেছে, অন্যরা বলেছেন যে এটি জেন্ডারমেরির পাশে থেকে আসছে।
একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, প্রধান মোদিবো কেইতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি এলাকা সহ বেশ কয়েকটি স্থানে গুলির শব্দ শোনা গেছে। আরেকটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরের কাছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের হেড কোয়ার্টার “মিনুসমার’ অবস্থান। বর্তমানের শতাধিক জাতিসংঘ কর্মকর্তা সহ সেখানে শুধুমাত্র বাংলাদেশ পুলিশের প্রায় দেড়শ সদস্যরা শান্তি রক্ষা মিশনে যাওয়ার পর বর্তমানে গার্ড ইউনিট হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
২০২৩ সালের ৩০ জুন শান্তিরক্ষী মিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৩ হাজার শান্তিরক্ষী সৈন্যদের সবাইকে ইতিমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মিনুসমার হেডকোয়ার্টারের নিরাপত্তার ও মিশনের অবশিষ্ট মালামাল কন্টেইনার করে প্রস্তানের কারণে শুধুমাত্র বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যরা গার্ড ইউনিট হিসেব ক্যাম্পের ভেতর দায়িত্ব পালন করছে। আগামী নভেম্বরে তাদের দেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
উল্লেখ, ২০১৩ সালে মালিতে জাতিসংঘ মিশন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩০৩ জনেরও বেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছে। তাই এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।##