
ভারত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে যে বিমান হামলা চালিয়েছে, তার নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। বিবাহিত হিন্দু মহিলারা মাথার সিঁথিতে লাল যেই রং দিয়ে থাকে তাকেই সিন্দুর বলে। সিঁদুর বিবাহিত হিন্দু মহিলার প্রতীক যা তাঁরা স্বামীর মঙ্গলকামনা করে পরে থাকেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীও “অপারেশন সিন্দুর” নামটি কল্পনা করার জন্য মাথার সিঁথিতে দেয়া লাল রঙে একটি ছবি ব্যবহার করেছে।
গত ২২শে এপ্রিল ভারতের পহেলগামের হত্যাকাণ্ডের প্রতি ইঙ্গিত করে বিধবাদের শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে “অপারেশন সিন্দুর” নাম দেয়া হয়। পহেলগামের এই স্থানটিতে নব বিবাহিতরা মধুচন্দ্রিমা করতে বেশি সংখ্যায় এসে থাকে।
ইন্ডিয়া টুডে জানায়, পাহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার বিধবা স্ত্রীদের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযানের সাংকেতিক নামকরণ করেছিলেন “অপারেশন সিন্দুর”। কারণ সেদিন পহেলগামে পুরুষদেরকে তাদের স্ত্রী সহ পরিবার থেকে আলাদা করে হত্যা করা হয়।
হিন্দু ধর্মে মনে করা হয়, স্ত্রী তাঁর সিঁদুরের শক্তিতে স্বামীকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে।প্রাচীনকাল থেকে হিন্দু মহিলারা স্বামীর জন্য সিঁথিতে সিঁদুর পরেন। সিঁদুরের লাল রং শক্তি ও ভালবাসাকে বহন করে থাকে বলে মনে করা হয়।
এদিকে ভারতের “অপারেশন সিন্দুর” হামলায় পাকিস্তানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জন হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই হামলায় পাকিস্তানে কতজন মহিলা বিধবা হয়েছেন সে তালিকা এখনো পাওয়া যায়নি। আক্রমণের আহত হয়েছে ৫৭ জন। অন্য দিকে পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারত-শাসিত কাশ্মীরে ১৫ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছে।
বিধবাদের সম্মান জানানোর লড়াই “অপারেশন সিন্দুর” দীর্ঘ হলে দুই দেশের কত সংখ্যক মহিলারা বিধবা হবেন, কতজন স্ত্রী এবং সন্তান সহ পিতা-মাতা হারাবেন তা বলার জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে।
পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীদের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলায় তাদের প্রতিবেশী সহ সারা বিশ্ব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ভারত ১৯৭৪ সালে এবং পাকিস্তান ১৯৮৮ সালে প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। অনেকের মতে, পাকিস্তানের কাছে ১৭০টি ওয়ারহেড আছে, যেখানে ভারতের কাছে রয়েছে ১৭২টি। তবে কিছু বিশ্লেষক পাকিস্তানের কাছে প্রায় ২০০টি থাকতে পারে বলে মনে করছে।###

