কাফিসে’র শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে মুসলমানদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার সক্ষমতা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। ১০মে শনিবার বিকেলে নিউইয়র্কের ব্রুকলীনস্থ ঐতিহ্যবাহী ইসলামী প্রতিষ্ঠান, ব্রুকলীন ইসলামী সেন্টার (বিআইসি) ক্যাম্পাসে কোরআন একাডেমী ফর ইয়াং স্কলারস্ (কাফিসের) আয়োজিত “ফান্ড রেইজিং ডিনার” অনুষ্ঠিনের আলোচকরা এসব কথা বলেন।
ব্রুকলীনের সাংবাদিক শহীদ উল্লাহ কাইছার জানান, বিআইসি’র চার্চ অ্যাভিনিউর নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত সভার উদ্ভোধন ও সভাপতিত্বে করেন জনাব একে এম সাইফুল আলম। সভায় প্রধান মেহমান ছিলেন কাফিসের কেন্দ্রীয় ডিরেক্টর বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মোহতারাম আবু ওবায়দা।অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় করেন জনাব মাহবুবুর রহমান।
সভায় আলোচকরা বিআইসি নিজস্ব জায়গায় দশতলা ভবর নির্মাণ করে একটা পূর্ণাঙ্গ ইসলামী
কমপ্লেক্স স্থাপন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বর্তমান চলমান স্কুল ও হেফজখানা পাশাপাশি ফিউনারেল হোম এবং কমিউনিটি সেন্টার সহ সেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিভাগ চালু করা হবে বলে জানানো হয়।
কুরআন একাডেমির ইসলামিক স্কুলটিকে হাই স্কুলসহ কলেজে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। বর্তমানে স্কুলটিতে ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি আমেরিকান কারিকুলামের সমন্বয় শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবু ওবায়দা জানান, আমেরিকার বেশিরভাগ প্রবাসী বাংলাদেশীরা সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ জন্য নিজের প্রিয় দেশ ছেড়ে এদেশে পড়ে আছেন। কিন্তু সত্তর/আশি দশক কিংবা তারও আগে যারা মার্কিন মুলুকে এসেছেন তাদের কত জনের পরবর্তী প্রজন্ম দ্বীনের মাঝে রয়েছেন, এটা এখন অনেক বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
আপনারা জেনে খুশি হবেন, কাফিস স্কুলের দু’টি ব্যাচের ৫জন মেয়ে সহ ৫৬জন শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে হিফস সম্পন্ন করেছেন। এই শিক্ষার্থীরা আমেরিকার নামকরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সৌদি আরবের মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। এখানকার শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে মুসলমানদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার সক্ষমতা রাখবে বলে সবাই আশা করে। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ইসলামী স্কুলের শিক্ষার্থীরা আমেরিকার কারিকুলামের পাশাপাশি দ্বীন শিখে যাচ্ছেন। তারা ভবিষ্যতে ইহকাল এবং পরকালের জন্য আলোকিত মানুষ হয়ে উঠবে।
সভায় আগত মেহমানরা স্কুলসহ ইসলামিক কমপ্লেক্সের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার প্রদানের ব্যাপারে সম্মতি প্রদান করেন।
সভায় অন্যান্যদের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন জনাব আবু সামিহা সিরাজুল ইসলাম, জনাব মাওলানা এমদাদ উল্লাহ, জনাব জনাব সাফায়াত হোসেন সাফা, জনাব অধ্যাপক কাজী ইসমাঈল, বায়তুল জান্নাহ মসজিদের সেক্রেটারী জনাব ওমর ফারুক প্রমুখ মেহমানরা। অনুষ্ঠানে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ইসলামী নাশিদ পেশ করে সবাইকে মুগ্ধ করে রাখেন।####