বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
প্রচ্ছদUncategorized"উই রিভোল্ট"ঘোষণা দিয়েই শহীদ জিয়া যুদ্ধ শুরু করেন।।

“উই রিভোল্ট”ঘোষণা দিয়েই শহীদ জিয়া যুদ্ধ শুরু করেন।।

 

“উই রিভোল্ট: অর্থাৎ “আমরা বিদ্রোহ করেছি” ঘোষণা দিয়েই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে প্রথম পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেন। ১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি দখলদার সেনাবাহিনী নিরীহ বাঙালিদের উপর গণহত্যার চালানোর পর দেশের রাজনৈতিক শূন্যতার সৃষ্টি হয়। তখন জিয়াউর রহমানের বিদ্রোহ করা এবং স্বাধীনতার ঘোষণা বাঙালিদের মধ্যে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙ্গার আকাঙ্ক্ষা স্ফুললিঙ্গ মত ছড়িয়ে পড়ে। তখন বাঙালীরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। লখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়। তেমনি ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর স্বাধীন দেশের  আরেকটি ভয়াবহ ক্রান্তিলগ্নে সিপাই-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান আবার দেশের হাল ধরেন। এরপর সবাইকে ঐক্যবদ্ধ তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান।

৩০ মে (শুক্রবার) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।

নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি’র সভাপতি অলিউল্লাহ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সভায় উদ্বোধক ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সভাপতি গিয়াস আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের বাকশাল ছিল মুক্তিযোদ্ধা চেতনার পরিপন্থী। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা তথা বাকশালের জন্য ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ‘৭৫ পরবর্তী সময় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কখনো স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপোষ করেনি। তেমনি তার সহধর্মিনী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে চলেছেন। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার সহ এক এগারোর সরকার ও গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের শত নির্যাতন এবং জুলুম মোকাবিলায় তিনি ছিলেন বরাবরই আপসহীন । তেমনি তারই সুযোগ্য পুত্র বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপর গত ১৭ বছরের নির্যাতন সহ দেশান্তরী করার পরও তিনি কখনো আপোষ করেননি।আজকের পরিবর্তে পরিস্থিতিতে তারেক রহমান দ্রুত নির্বাচন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন । আমরা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি সহ সারা বাংলাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীরা সহ জনগণ তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাব।

আলোচনা সভায় বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল। এবং সভা সঞ্চালনা করেন সাইদুর রহমান সাইদ।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া,জিল্লুর রহমান জিল্লু, জসিম উদ্দিন ভিপি, আরিফুর রহমান রইচ উদ্দিন, হুমায়ুন কবির, দেলোয়ার হোসেন, বদরুল হক আজাদ, জিনাত রেহানা, আনোয়ার হোসেন, এম এ কাইয়ুম আশরাফ হোসেন, আমিনুর রহমান চৌধুরী, জুয়েল রানা নিরা রব্বানী,মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে জায়নামাজ এবং তবারক বিতরণ করা হয়।##

 

 

 

আরও পড়ুন
- Advertisment -spot_img

সর্বশেষ