ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতি মুসলিম ভোটারদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণে ডোনাল্ড ট্রাম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে।
আমেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম হল ইসলাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার ১.৩৪ শতাংশ বা প্রায় ৪৫ লাখ হল মুসলিম। জর্জিয়া, মিশিগান, পেনসিলভানিয়ার, মিনেসোটা, উইসকনসিন এর মত রাজ্যগুলিতে সামগ্রিক নির্বাচনী কলেজের ফলাফল নির্ধারণের ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন জরিপ দেখা গেছে মুসলিম আমেরিকান ভোটাররা নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয়ের জন্য জয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে ।
সম্প্রতি এক নির্বাচনী জরিপ বলা হয়েছে, প্রায় ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ কমলা হ্যারিসকে ভোট দেবেন। এই খবর ডেমোক্র্যাটদের জন্য উদ্বেগ জনক। আমেরিকান মুসলিমরা অতীতে ২০১৬ সালে ৬৫ শতাংশ হিলারি ক্লিনটনকে এবং ২০২০ সালে ৮০ শতাংশ জো বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন। বারাক ওবামার ক্ষেত্রে এই অনুপাত ছিল ২০০৮ সালে ৮০ শতাংশ।
আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্য তথা গাজায় গণহত্যার পক্ষে সমর্থন দেওয়া সহ অধিবাসন নীতিকে অগ্রাধিকার রেখে আমেরিকান মুসলমান তাদের রায় দেবে । তবে বর্তমানে গাজার নির্মম ভয়ংকর যুদ্ধে বাইডেন-কমলা প্রশাসনের ভূমিকায় আমেরিকান মুসলমানরা প্রচন্ড হতাশ। ফিলিস্তিনিদের অমানবিক দুর্দশার জন্য ডেমোক্র্যাটদের প্রতি তাদের তাঁদের ঘৃণা বাড়ছে।
এদিকে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি গাজায় ইস্রায়েলের যুদ্ধের সমর্থন থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছেন। জুলাইয়ে, কমলা হ্যারিস কংগ্রেসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণে যোগ দেননি, বলেছিলেন যে তিনি গাজার দুর্ভোগের বিষয়ে নীরব থাকবেন না এবং যুদ্ধবিরতির জন্য তার সমর্থন স্পষ্ট করেছেন।
অন্যদিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিমদের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ৯/১১ পরবর্তী সময়ে রিপাবলিকানদের ইসলামফোবিয়া বিষয়টিও তাদের মাথায় রয়েছে।
তাই অনেকেরই প্রশ্ন আমেরিকান মুসলিমরা এবার কী করবেন? তাঁরা কি দুই শয়তানের মধ্যে কম খারাপটাকেই বেছে নেবেন? নাকি এই ভোট থেকে নিজেদের সরিয়ে নেবেন?
অনেকে বলছে মুসলমানদের শোডাউনের সময় এসেছে। যদি কমলা হ্যারিস পরাজিত হয় তবে ডেমোক্র্যাটদের প্রতি মুসলমানদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণে ঘটবে বলে অনেকেই মনে করছে। সেই ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিজয়ের ক্ষেত্রে অনেকখানি এগিয়ে থাকবে।###