শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রচ্ছদআন্তর্জাতিকঅভিবাসন প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনী ব্যবহারের বিষয়টি নাকচ করেননি ডোনাল্ড ট্রাম।। মার্কিন জনগনও ট্রাম্পের...

অভিবাসন প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনী ব্যবহারের বিষয়টি নাকচ করেননি ডোনাল্ড ট্রাম।। মার্কিন জনগনও ট্রাম্পের পক্ষে।। বিনা চ্যালেঞ্জে ছাড় দেয়া হবে না।। আদালতের প্রতিও ট্রাম্পের শ্রদ্ধা রয়েছে।।

“যখন আমরা সামরিক কথা বলি, তা ন্যাশনাল গার্ডের কথা বলি। সেইভাবে সামরিক বাহিনী ব্যবহার করতেও কোন সমস্যা হবে না। তবে ন্যাশনাল গার্ডই যথেষ্ট। অভিবাসীরা আইনত আমাদের দেশের কেউ নয়। এরা আমাদের দেশের উপর আগ্রাসন হয়ে বসেছে।”প্রায় সাত মাস আগে নির্বাচনী প্রচারনায় অবৈধ অভিবাসীদের রুখতে সেনাবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করবেন কিনা এই প্রশ্নের জবাবে আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টাইম ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকার এই সব কথা বলেন।

“অভিবাসন” মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একটা বড় ইস্যু ছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচনী প্রচারণায় বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে দেখা গেছে, নথিবিহীন অবৈধ অভিবাসীদেরকে ফেরত পাঠানো হবে। চারজনের মধ্যে একজন আমেরিকান চান যে ট্রাম্প প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে অভিবাসন সমস্যা সমাধান করুক। ২০ জানুয়ারী শপথ নেওয়ার প্রথম একশ দিনে ট্রাম্পের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী হওয়া উচিত তা জিজ্ঞাসা করা হলে, আমেরিকানদের ২৫% বলেছেন, প্রেসিডেন্ট অভিবাসনকে অগ্রাধিকার দেবে। সূত্র রয়টার্স।

বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায় , ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্ররা এবং বেসরকারী সেক্টরের কিছু অংশ নীরবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অভিবাসীদের আটক ও বিতাড়িত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ইউএস ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) দ্বারা প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে ২০১৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একজন অনথিভুক্ত অভিবাসীকে গ্রেপ্তার, আটক, প্রক্রিয়াকরণ এবং অপসারণের গড় খরচ ছিল ১০,৯০০ মার্কিন ডলার ৷ বর্তমানে খরচ আরো বাড়বে। লক্ষ লক্ষ অধিবাসীকে বিতারণ প্রক্রিয়ায় বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন দেখা দেবে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়ার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশীদের অনেকেই হয়তো বিপাকে পড়বেন । তবে বাংলাদেশের অভিবাসীরা যেহেতু অনেক পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত, সেখানে কিছু সুবিধা-অসুবিধায় পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির।

এদিকে ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিদেশি বংশোদ্ভূত মানুষের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে অনেক বেশি। প্রায় ৪ কোটি ৭৮ লক্ষ মানুষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাস করেন যা মোট মার্কিন জনসংখ্যার ১৪.৩ শতাংশ এই তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছে মেক্সিকো থেকে আসা মানুষ। সেখানকার এক কোটি ছয় লক্ষ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। অন্যদিকে, সেখানে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষের সংখ্যা ২৮ লক্ষ এবং চীন থেকে আসা মানুষের সংখ্যা ২৫ লক্ষ বলে জানায় বিবিসি। এছাড়া প্রায় পৌনে তিন লাখ বাংলাদেশীও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেছ।

রাজস্বের দিক থেকে ৫০০টি বৃহত্তম মার্কিন কোম্পানির বার্ষিক তালিকার প্রায় ৪৫ শতাংশ সংস্থাই অভিবাসী বা তাদের সন্তানদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। একই সময়ে, ১০০ কোটি ডলার বা তার বেশি মূল্যের মার্কিন স্টার্ট-আপগুলোর ৫৫ শতাংশই প্রতিষ্ঠা করেছে অভিবাসীরা।

বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে অভিবাসীরা, যাদের মধ্যে অনেকেই প্রাথমিকভাবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল।অর্থ ব্যবস্থা ভূমিকা পালন করে এমন সেক্টর যেমন কৃষি- সম্পূর্ণরূপে অভিবাসী শ্রমিকদের উপর নির্ভরশীল।

আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ)-এর সীমান্ত ও অভিবাসন বিষয়ক নীতি ও সরকারী বিষয়ক পরিচালক মারিবেল হার্নান্দেজ রিভেরা বলেছেন, “আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি — আমাদের কাছে আইনি সরঞ্জাম রয়েছে, আমাদের কাছে অ্যাডভোকেসি সরঞ্জাম রয়েছে এবং আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে আমাদের লোক রয়েছে৷ তিনি ট্রাম্পের প্রস্তাবগুলিকে “নিষ্ঠুর” বলে অভিহিত করেছেন এবং যোগ করেছেন, “আমরা প্রস্তুত” ট্রাম্পের নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে।

অন্যিদকে ট্রাম্পের যে কোনো পদক্ষেপ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হলে তিনি ফেডারেল আদালত যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রতি তার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে।#####

আরও পড়ুন
- Advertisment -spot_img

সর্বশেষ